২০০৬ সনের ১৯ নং আইন
দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবদের সহজ ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠন এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়বলী সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
৪। গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন।–(১) যেক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন মামলা গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হয় সেই ক্ষেত্রে বিরোদের যে কোন পক্ষ উক্ত মামলা বিচারের নিমিত্তে গ্রাম আদালত গঠনের জন্য সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিকট, লিখিত কারন দর্শইয়া উক্ত আবেদন নাকচ না করিলে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি গ্রাম আদালত গঠন উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন নামঞ্জরের আদেশ সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশের বিরূদ্ধে নির্ধারিত পদ্দতিতে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখাতয়ার সম্পূর্ন সরকারি জজ আদালতে রিভিশন করিতে পারিবেন ।
গ্রাম আদালত গঠন, ইত্যাদি।–(১) একজন চেয়ারম্যান এবং উভয় পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন করিয়া মোট চারজন সদস্য লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকবে প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হইতে হইবে ।
(২) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হবেন । তবে যে ক্ষেত্রে কোন কারণবশতঃ চেয়ারম্যান হিসাবে অসমর্থ হন কিংবা তাহার নিরাপেক্ষতা সম্পর্কে কোন পক্ষ কর্তৃক প্রশ্ন উথাপিত হয় সেই ক্ষেত্রে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে,উপধারা (১) এ উল্লেখিত সদস্য ব্যতীত উল্লেখিত সদস্য ব্যতীত উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের অন্য কোন সদস্য গ্রাম আদালতের সদস্য হইবেন ।
(৩) বিবাদের কোন পক্ষে যদি একাধিক ব্যক্তি থাকেন তবে চেয়ারম্যান উক্ত পক্ষভূক্ত ব্যক্তিগণকে তাহাদের পক্ষের জন্য দুইজন সদস্য মনোনীত করতে আহবান জানাবেন এবং তাহারা যদি অনুরূপ মনোনয়নের ব্যর্থ হন তবে তিনি উক্ত ব্যক্তিগনের মধ্যে হইতে যে কোন একজনকে সদস্য মনোয়ন করার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিবেন এবং তদানুযায়ী অনুরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সদস্য মনোয়ন করবেন ।
(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন বিবাদের কোন পক্ষ চেয়ারম্যানের অনুমতি লইয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তি কে গ্রাম আদালতের সদস্য হিসাবে মনোনয়ন করিবেন ।
(৫) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছু থাকুকনা কেন যদি নির্ধারিত সময়ের সদস্য মনোয়ন করা না হয়, তবে অনুরূপ সদস্য ব্যতিরেকেই গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উহা বৈধ ভাবে উহার কার্যক্রম চালাতে পারবে ।
৬। গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, ইত্যাদি ।-(১) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারন উদ্ভব হইবে, বিবাদের পক্ষগন সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের বাসিন্ধা হইলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাথ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারন উদ্ভব হইবে সেই ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে,
তবে পক্ষগন ইচ্ছা করিলে নিজ ইউনিয়ন হতে প্রতিনিধি মনোনিত করিতে পারবে ।
(৭) গ্রাম আদালতের ক্ষমতাঃ- (১) এই আইনে ভিন্নররূপ কোন বিধান না থাকিলে গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধসমুহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অনধিক পচিঁশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরন প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। (২) গ্রাম আদালত তফসিলের দ্বিতীয় অংশ বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলার অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লিখিত পরিমান অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যাপন করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেভ;
৮। গ্রাম আদালতের সিন্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া ও আপিলঃ-(১) গ্রাম আদালতের সিদ্দান্ত সর্বসম্মত বা চার-এক (৪:১) সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে বা চারজন সদষস্যর উপস্থিতে তিন এক (৩:১) সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে গৃহিত হইলে উক্ত সিধ্ধান্ত পক্ষগনের উপর বাধ্যকর হইবে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী কার্যকর হইবে।(২) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত তিন-দুই (৩:২) সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে গৃহিত হইলে সংক্ষুদ্ধ পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের ত্রিশদিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে-
(ক) মামলাটি তফসিলের প্রথম অংশ বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সশ্পর্কিত হইলে এখতিয়ারসম্পূর্ণ সরকারি জজ আদালতে আপীল করিতে পারবে; এবং
(খ) মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় অংশ বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত হইলে এখতিয়ার সম্পূর্ণ সরকারি জজ আদালতে আপীল করিতে পারবে
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আপীলের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রমত, সংশিষ্ট প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সরকারী জজ আদালতের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে বিবেচ্য ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত সুবিচার করিতে ব্যর্থ হইয়াছে তাহা হইলে ক্ষেত্রমত সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সরকারি আদালতের উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারবে অথবা পুর্নবিবেচনার জণ্য মামলাটি গ্রাম আদালতের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে।
(৪) আপাততঃ বলবত অন্য কোন আইনে যাহা কিছুক থাকুকনা কেন, এই আইনের বিধানবলী অনুযায়ী গ্রাম আদালত কর্তৃক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উহা অন্য কোন গ্রাম আদালত সহ অন্য কোন আদালতে বিচার্য হইবে না।
৯। গ্রাম আদালতের সিদ্দান্ত কার্যকরনঃ-(১) গ্রাম আদালত কোন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পন করিবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদেশ প্রদান করিবে এবং তাহা নির্দিষ্ট রেজিষ্টার লিপিবদ্ধ করিবে।
(২) গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে উহার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবী মিটানো বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে অথবা কোন সম্পত্তি অর্পন করা হইলে গ্রাম আদালত, ক্ষেত্রমত, উক্ত অর্থ প্রদান বা সম্পত্তি অর্পন সংক্রান্ত তথ্য উহার রেজিস্টারে লিবিবদ্ধ করিবে।
(৩) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরন প্রদানের জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত অর্থ প্রদান করা হয় সেইক্ষেত্রে চেয়ারম্যান উহা ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া কর আদায়ের পদ্ধতিতে public Demands Recovery Act, 1913 (Act III of 1913) এর অধীনে আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করিবে।
(৪) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরন প্রদান না কলিয়া অণ্য কোন প্রকারে দাবি মেটানো সম্ভব, সেইক্ষেত্রে উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য বিষয়টি এখতিয়ারসম্পূর্ণ সরকারি জজ আদালকতে উপস্থাপন করিতে হইবে এবং অনূরূপ আদালত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য এইরূপ ব্যবস্থা গ্রহন করবে যেন ঐ আদালত কর্তৃকই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হইয়াছে।
(৫) গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করিলে ততকর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরনের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবে।
১০। সাক্ষীকে সমন দেওয়া, ইত্যাদির ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ক্ষমতা।–(১) গ্রাম আদালত যে কোন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হইতে সাক্ষী দেওয়ার জণ্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার জন্য সমন দিতে পারবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে-
(ক) দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৩৩ এর উপ-ধারা (১) এ যে ব্যক্তিকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হইতে অব্যহতি দেওয়া হইয়াছে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না;
(খ) গ্রাম আদালত যুক্তিসংহত ভাবে মনে কর যে অহেতুক বিলম্ব খরচ বা অসুবিধা ব্যতীত কোন সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভব নয় তবে আদালত সেই সাক্ষীকে সমন দিতে বা সেই সক্ষীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সমন কার্যকর করিতে অগ্রাহ্য করিতে পারিবে;
(গ)গ্রাম আদালতের এখতিয়ার বর্হিভূত এলাকরি বসবাসকারী কোন ব্যক্তির ভ্রমন বা অন্যান্য খরচ নির্রাহ বাবদ আদালতের বিবেচনামতে পর্যাপ্ত অর্থ প্রদানের জন্য আদালতে জমা দেওয়া না হইলে গ্রাম আদালত ঐ ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবে না।
(ঘ) গ্রাম আদালত রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী সম্পর্কিত কোন গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারি দাখিল রেকর্ড দাখিল করিবার জন্যে কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না বা সংশ্লিষ্ট বিবাগের প্রধান কর্মকতার অনূমতি ব্যতীত অনূরূপ গোপনয়ীয় দালিল বা অপ্রকাশিত সরকারি রেকর্ড হইতে আহরিত কোন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না।
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন জারিকৃত সমন ইচ্ছা পূর্বক অমান্য করিলে গ্রাম আদালত অনূরূপ অমান্যতা আমলযোগ্য অপরাধ গন্যে অভিভূক্ত ব্যক্তিকে তাহার বক্তব্য পেশের সুযোগ প্রদান সাপেক্ষ অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পরিবে।
১১। গ্রাম আদালতের অবমাননা।–(১) কোন ব্যক্তি আইনসংগত কারন ব্যতীত যদি-
(ক)কথাবার্তা, ভয়ভীতি, প্রদর্শন বা অন্যবিদ আচরন দ্বারা কোন প্রকার অপমান করেন; বা
(খ) গ্রাম আদালতের কাযক্রম কোনরুপ ব্যঘাত সৃষ্টি করেন; বা
(গ) গ্রাম আদালতের আদেশ সত্তেও কোন দলিল দাখিল বা অর্পন করিতে ব্যর্থ হন; বা
(ঘ) গ্রাম আদালতের যে প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য, সেইরুপ কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন; বা
(ঙ) সত্য কথা বলিবার শপথ গ্রহন করিতে বা গ্রাম আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তাহার প্রদত্ত জবানবন্দীতে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন- তাহা হইলে তিনি গ্রাম আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হইবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনকৃত অপরাদের ক্ষেত্রে আদালতের নিকট কোন অবিযোগ পেশ করা না হইলেও গ্রাম আদারত অনুরুপ অবমানানার দায়ে অবিযুক্ত ব্যক্তির বিচার করিতে পারবে এবং তাহাকে অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবে।
১২। জরিমানা আদায়।–(১) ধারা ১০ ও ১১ এর অধীন ধাযকৃত জরিমানা পরিশোধ করা না হইলে গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্যসমূহ উক্ত ধাযকৃত জরিমানার পরিমান এবং উহা পরিশোধিত না হওয়ায় বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া উহা আদায়ের জন্য এখতিয়ারসম্পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সুপারিশ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সুপারিশ প্রাপ্ত হইবার পর সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কাযবিধির বিধান মোতাবেক উক্ত জরিমানা আদায় করিবার জন্য এইরুপ ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন যেন উহা তদকর্তৃক ধায্য হয়েছে এবং অনুরুপ জরিমানা আদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) ধারা ১০ ও ১১ বা উপ-ধারা (২) এর অধীন সমস্ত আদায়কৃত জরিমানা ইউনিয়ন পরিষদের নিকট জমা হবে।
১৩। পদ্ধতি।–(১) এই আইনে ভিন্নরুপ কোন বিধান না থাকিলে, Evidence Act, 1872 (Act 1 of 1882),ফৌজদারী কায্যবিধি এবং দেওয়ানী কায্যবিধির বিধানবলী কোন গ্রামে আদালতে আনীত মামলায় প্রযোজ্য হবে না।
(৩) গ্রাম আদালতে আনীত সকল মামলার ক্ষেত্রে Oaths Act, 1873 (Act X of 1873) এর section 8, 9, 10 ও 11 প্রযোজ্য হইবে ।
(৩) কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধ এ আইনের অধীন কোন মামলা দায়ের করা হইলে তিনি যদি এই মর্মে আপত্তি উথাপন করেন যে কথিত অপরাধ তাহার সরকারী দ্বায়িত্ব পালনকালে বা দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সংঘটিত হইয়াছে তাহা হইলে উক্ত অপরাধ বিচারের জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বামোদনের প্রয়োজন হইবে।
১৪।আইনজীবি নিয়োগ নিষিদ্ধ।–আন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা পরিচালনার জন্য কোন পক্ষ কোন আইনজীজি নিয়োগ করিতে পারিবেন না।
১৫। সরকারী কর্মচারী, পর্দাণশীল বৃদ্ধ মহিলা এবং শারিরীক ভাবে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব।–(১) আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইকত হইবে এমন কোন সরকারি কর্মচারী যদি তাহার উর্দ্ধতম কর্তৃপক্ষের সুপরিশসহ এই মমে আপত্তি উথাপন করেন যে তাহার ব্যক্তিগত উপস্থিতির ফলে সরকারী দায়িত্ব পালন ক্ষতিগ্রস্থ হইবে তাহা হইলে আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযতভাবে কোন প্রতিনিধিকে তাহর পক্ষে গ্রাম আদালতের সম্মুখে হাজির হবার জন্য আনুমতি প্রদান করিবে।
(২) গ্রাম আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইতে হবে এমন কোন পর্দানশীল বা বৃদ্ধ মহিলা এবং শারিরিক ভাবে অক্ষম ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত হইয়া সাক্ষ্য প্রদান করতে অসর্থ হইলে আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধিকে তাহার পক্ষে আদালতের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য আনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা(১)বা (২) এর অধীন নিযুক্ত কোন প্রতিনিধি কোন পারিশ্রমীক গ্রহন করিতে পারিবে না।
১৬। কতিপয় মামলার স্থানান্তর।–(১) যেক্ষেত্রে জেলা মাজিস্ট্রেট মনে করেন যে তফসিলের ১ম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্মর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারধীন কোন মামলার পরিস্থিতি এইরূপ যে জনস্বার্থে ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোন ফৌজদারি আদালতে উহার বিচার হওয়া উচিত, সেইক্ষেত্রে এই আইনে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা সত্তেও তিনি গ্রাম আদালত হইতে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করিত এবং বিচার ও নিষ্পতির জন্য উহা ফৌজদারী আদালতের প্রেরনের নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(২) কোন গ্রাম আদালত যদি মনে করে যে, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন বিষয় সম্পর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারধীন কোন মামলার ন্যায়বিচারের স্বার্থে অপরাধীর বিচার হওযা উচিত তাহা হইলে উক্ত আদালাত প্রেরনের নির্দেশ দিতে পারিবে।
১৭। পুলিশ কর্তৃক তদন্ত।–এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন কোন মামলার বিষয়বস্তু তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধ সম্পর্কিত হওয়ার কারনে পুলিশ সংশ্লিষ্ট আমলযোগ্য মামলার তদন্ত বন্ধ করিবে না তবে কোন ফৌজদারী আদালতে অনুরূপ কোন মামলা অণীত হয় তাহলে উক্ত আদালত উপযুক্ত মনে করিলে মামলাটি এই আইনের বিধান মোতাবেক গঠিত কোন গ্রাম আদালতে প্রেরনের নির্দেশ দিতে পারিবে।
১৮। বিচারধীন মামলা সমূহ।–এই আইন মোতাবেক বিচারযোগ্য যে সকল মামলা এই আইন বলবত হইবার অব্যহতি পূর্বে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী আদালতে বিচারধীন রইয়াছে উহাদের উপন এই আইন প্রযোজ্য হইবে না এবং অনুরূপ মামলা অনুরূপ আদালত কর্তৃক এইরূপে মীমাংসা করা হইবে যেন এই আইন প্রনীত হয় নাই।
১৯।অব্যহতি দেওয়ার ক্ষমতা।–সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে কোন এলাকা বা এলাকা সমূহ বা যে কোন মামলা বা মামলাসমূহ যে কোন সম্প্রদায়কে এই আইনের সকল বা যে কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যহতি প্রদান করিতে পারিবে।
২০।বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা।–এই আইনের উদ্দেশ্য পূরনকল্পে সরকার, সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রদান করিতে পারিবে।
২১। রহিতকরন ও হেফাজত।–(১) The village court ordinance, 1976 (ordinance no. LXI of 1976), অতঃপর রহিত অত্যাদেশ বলিয়া উল্লেখিত এতদ্বানরা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিত হওয়া সত্তেও, রহিত অধ্যদেশ এর অধীণ-
(ক) বিচারধীন মামলা সমূহের ক্ষেত্রে মামলার সিদ্দান্ত বাস্তবায়ন সহ উহাদের নিষ্পতি এইরুপে নিষ্পর্ণ হইবে যেন এই অধীন প্রণীত হয় নাই।
(খ) প্রণীত সকল বিধি এই আইনের বিধানবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে রহিত বা সংসোধিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS