Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Image
Title
গড়াই রেলওয়ে ব্রীজ
Details

আবেগে আপ্লুত, বাকরুদ্ধ স্মলার ভ্রাতৃদ্বয় বৃটিশ থেকে এলেন গড়াই রেল ব্রীজ দেখতে

নস্টালজিয়ায় আক্রন্ত দুইজন মানুষ। আবেগে আপ্লুত, বাকরুদ্ধ। তাদের ত্রিশবছরের স্বপ্ন আজ সফল হলো। এ যে কি আনন্দের ! হোক বাঙালি কিম্বা অন্য কোনোভাষা ভাষির মানুষ, আবেগে সবাই আপ্লুত হয়। যা দেখা গেলো গতকাল কুমারখালিরগড়াই নদীর ওপর রেলওয়ে ব্রীজে পা রাখতেই। নাইজেল স্মলার ও অড্রিন স্মলার দুইসহোদর। তাদের বাবা অল্ডউইন স্মলার ছিলেনতৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানীর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ার। অল্ডউইন স্মলারেরকর্মস্থল ছিলো কুষ্টিয়া। ১৯৩৭ সালে কুমারখালিতে গড়াই নদীর ওপর রেলওয়েব্রীজের কাজ শুরু হলে তিনি ছিলেন সার্বিক দায়িত্বে। ব্রীজটি নির্মন কাজ১৯৩৭ সালে শুরু হয়ে সম্পন্ন হয় ১৯৩৯ সালে। সে সময় সৃষ্টির উল্লাসে আন্দোলিতনাইজেল স্মলারের বাবা অল্ডউইন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্রীজের অনেক ছবিতোলেন। বৃটিশ নাগরিক অল্ডউইন ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ের প্রকৌশলীর চাকরি নিয়েভারতে আসেন ত্রিশের দশকে প্রথম দিকে। তাঁর কর্মস্থল নির্ধারন হয়কুষ্টিয়াতে। নাইজেলের নানা ব্রিটিশ নাগরিক হলেও চাকরি সুত্রে বসবাস করতেনভারতের নাগপুরে। তাঁর মেয়ে তেরেসার সঙ্গে অল্ডউইনের বিয়ে হয়। ১৯৫১ সালেঅল্ডউইন ইংল্যান্ডে ফিরে যান। ১৯৭৮ সালের ১৯ অক্টোবর ৭৪ বছর বয়সে তিনি মারাযান। মারা যাবার পূর্বে তিনি বড় ছেলে নাইজেল স্মলারকে অনেক ছবি দেখান ওগড়াই ব্রীজ তৈরির গল্প বলেন। বলেন বাংলাদেশ তথা কুষ্টিয়া-কুমারখালির অপরুপপ্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা। বাবার মৃত্যুর ২ বছর পর হঠাৎই যেন নাইজেলআক্রন্ত হন নষ্টালজিয়ায়। বাবার সৃষ্টি গড়াই ব্রীজ দেখতে হবে। সেই থেকেস্বপ্ন দেখা শুরু। কিন্তু সময় ও সুযোগ হয়ে ওঠে না। ৩০ বছর ধরে স্বপ্ন দেখারপর গত ২৮ মার্চ নাইজেল স্মলার ও তার ছোট ভাই অড্রিন স্মলার এবং ভিয়েতনামীবন্ধু হুয়াং লি বাংলাদেশে আসেন। এদেশে তারা দি বেঙ্গল টুরিস্ট লিমিটেডেরতত্বাবধানে ওঠেন। গতকাল দুপুরে তারা টুর ম্যানেজার মহিউদ্দিন জিয়ারনেতৃত্বে আসেন কুমারখালি প্রেস ক্লাবে। এখান থেকে এ প্রতিবেদক ও কুমারখালিপ্রেস ক্লাবের সভাপতি বাবলু জোয়ারদার তাদের সফর সঙ্গী হন । কুমারখালি প্রেসক্লাব থেকে মাইক্রো গড়াই ব্রীজের দিকে যতো এগুতে থাকে, ততোই আবেগ তাড়িতহতে থাকেন স্মলার ভ্রাতৃদ্বয়। অবশেষে স্বপ্নের গড়াই ব্রীজ। স্পন্দিত বুকেরস্পর্শ নিয়ে স্বপ্ন নেমে আসে ধরা তলে। আবেগে আপ্লুত, বাকরুদ্ধ স্মলার দুইভাই। বাবার সৃষ্টি তারা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেন। যেনো বাবাকেই ছুঁয়ে দেখছেন তারাগভীর মমতায়। এ এক অন্য অনুভুতি। ব্রীজ তৈরির সময়ের তোলা স্মৃতিময় ছবিদেখিয়ে তারা বলেন, এই হচ্ছে গড়াই ব্রীজ, আর এই আমাদের বাবা। তারা বলেন, বাবা এই ব্রীজ তৈরির অনেক গল্প আমাদের শুনিয়েছেন। শুনিয়েছের এদেশেরপ্রকৃতি, লালন, টেগর ও এদেশের মানুষের কথা। নাইজেল স্মলার পেশায় একজনমানষিক রোগের চিকিৎসক ও তার ভাই অড্রিন স্মলার ব্যাংকার। নাইজেল বলেন, আমরাচার ভাই, মা আছেন। তাঁর বয়স ৭৪ বছর। আমরা এ ব্রীজের ছবি ও ভিডিও চিত্রদেশে গিয়ে আমাদের মা ও অন্য দু’ ভাইকে দেখাবো। আমাদের বন্ধুদের দেখাবোবাবার সৃষ্টি। তাঁরা আজ সকালে আবার গড়াই ব্রীজের কাছে আসবেন। কুমারখালিথেকে তাঁরা বিদায় নেন পড়ন্ত বিকালে ট্রেনের ইঞ্জিনে চড়ে। উদ্দেশ্যে, চলন্তট্রেন থেকে ব্রীজের ভিডিও চিত্র ধারন করা।